প্রিয় পাঠক, বর্তমান আবহাওয়ার পরিবর্তনে প্রত্যেক ব্যক্তিরই জ্বর ঠান্ডা কাশি হয়ে থাকে। অনেকের আবার ডেঙ্গু জ্বর দেখা দিচ্ছে। আপনি কি ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত কিনা বা ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ গুলো কি কি সে সম্পর্কে আজকের আর্টিকেল।
আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়লে ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ, ডেঙ্গু রোগ কি এর প্রতিকার কি এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
ডেঙ্গু বা ডেঙ্গু জ্বর কি ?
উপক্রান্তীয় এবং ক্রান্তীয় অঞ্চলের গ্রীষ্ম প্রধান দেশে ডেঙ্গু এবং ডেঙ্গু জ্বর একটি অত্যন্ত সাধারণ সেক্টর বাহিত ভাইরাস ঘটিত রোগ। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পশ্চিম প্রান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ আমেরিকা এবং আফ্রিকায় সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গুর প্রভাব দেখা যায়।
ভারতবর্ষে প্রতারণতাষ্ম এবং বর্ষার সময় এই রোগের প্রভাব বৃদ্ধি পায়। ডেঙ্গু সংশ্রমণের হার সবচেয়ে বেশি থাকে মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত এই সময়। এপ্রিল মাসে এই হার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায় জুন জুলাই মাস থেকে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা সাধারণত হসপিটাল গুলোতে বেশি দেখা যায়।
ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের কোনো বিশেষ লক্ষণ নাও দেখা যেতে পারে। সঠিক চিকিৎসায় বাড়িতে থেকেই এই রোগের নিরাময় করা সম্ভব। শুধুমাত্র বিশেষ কিছু ক্ষেত্রেই রোগীকে হসপিটালে ভর্তির প্রয়োজন হয়।
সেই ক্ষেত্রেও এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রোগী ভালো হওয়ার সম্ভাবনা পূর্ণ রয়েছে। এই রোগ সম্পর্কে জনমানুষে সচেতনতা বৃদ্ধি ভীষণ জরুরী সামান্য কিছু উপায় মেনে চললে, ডেঙ্গুর প্রভাব থেকে আমরা নিজেদের রক্ষা করতে পারি। এই রোগ লোকালয়ে ছড়িয়ে পড়ার হাত থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া যায়।
ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ
ডেঙ্গু জ্বর বা ( DENG Gey) হলো একটি মশা বাহিত ভাইরাস ঘটিত রোগ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রথমবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর বিশেষ কোনো উপসর্গ বা লক্ষণ দেখা যায় না। শুধু অল্প কিছু ক্ষেত্রেই রোগীর প্রভাব গভীর হয়। ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ গুলি জেনে নিন।
- উচ্চ জ্বর ( ৪০ °c / 104°F)
- তীব্র মাথার ব্যথা
- বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া
- চোখের পিছনে ব্যথা অনুভূতি
- মাংসপেশি এবং অস্থিসন্ধি যন্ত্রণা
- মাথা ঘোরানো
- ত্বকে বিভিন্ন স্থানে ফুসকুড়ি
- গ্রন্থি ফুলে যাওয়া
এই উপসর্গ গলি রং সংক্রমণের চার থেকে দশ দিনের মধ্যে দেখা যায়। সাধারণত দুই থেকে সাত দিন পর্যন্ত উপসর্গ স্থায়ী হতে পারে। দ্বিতীয়বার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে রোগের ভয়াবহতা বৃদ্ধি পায়। সেই কারণে পূর্বে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের অতিরিক্ত সতর্কতা মেনে চলতে হবে।
ডেঙ্গু রোগের গুরুত্ব লক্ষণ গুলি
প্রচন্ড পেট ব্যথা
ক্রমাগত বমি হওয়া
মারি বা নাক থেকে রক্ত পড়া
প্রসাবে এবং মলের সাথে রক্ত কথা হওয়া
অনিয়ন্ত্রিত পায়খানা
ত্বকের নিচে রক্তক্ষরণ
দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস
ক্লান্তি অনুভব
বিরক্তি এবং অস্থিরতা দেখা দেওয়া
ডেঙ্গু জীবাণু মানুষের শরীরের রক্তনালী গুলোতে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ফলে রক্তনালীতে ছিদ্র তৈরি হয়। রক্ত প্রবাহে ক্লট তৈরির কোষ গুলির সংখ্যা কমে যেতে থাকে।
এর জন্য মানুষের শরীরের শখ লাগা শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্তপাত যে কোন অঙ্গের ক্ষতি এবং শেষ পর্যন্ত রোগীর মৃত্যু হতে পারে। রোগীর শরীরে গুরুতর উপসর্গগুলির কোন একটি দেখা দিলে অতি অবশ্যই দ্রুত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত বা রোগীকে নিকটবর্তী হসপিটালে ভর্তি করানো দরকার অন্যথায় রোগীর প্রাণ সংকট হতে পারে।
ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা
ডেঙ্গুর চিকিৎসার বিশেষ কোন ঔষধ বা প্রতিষেধক এখনো পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি। গবেষকরা কাজ করে যাচ্ছেন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ঘরোয়া চিকিৎসাতে কমে যায়।
সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ দিয়ে যন্ত্রণা এবং জ্বরের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করেন। Non Steroidal প্রদাহ প্রতিরোধে ঔষধের রক্তক্ষরণের সম্ভাবনা নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
রোগের মাত্রা অতিরিক্ত ভাবে বৃদ্ধি পেলে রোগীকে হসপিটালে ভর্তি এবং ডাক্তারি নজরদারিতে রাখা একান্ত জরুরি। হসপিটালে ডেঙ্গু রোগীদের শিরায় Iv ইলেক্ট্রোলাইট লবণ তরল দেওয়া হয় এতে শরীরে প্রয়োজনীয় পানি এবং লবণের যোগান বজায় থাকে।
সর্বশেষ: ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। আশা করা যায় সম্পূর্ণ আলোচনাটি মনোযোগ সহকারে পড়লে ডেঙ্গুর রোগের অথবা ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব।
Tag:ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ,ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ,ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও চিকিৎসা,ডেঙ্গু জ্বর ও প্রতিকার,ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার,ডেঙ্গু জ্বর,ডেঙ্গু রোগের কারণ,ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার,ডেঙ্গু,ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা,বাচ্চার ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ,শিশুর ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার,ডেঙ্গু রোগীর খাবার তালিকা,ডেঙ্গু রোগের খাবার,#ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা,ডেঙ্গু জ্বরের উৎপত্তি লক্ষণ ও প্রতিকার,ডেঙ্গু রোগীর খাবার,ডেঙ্গু জ্বরের প্রতিকার।
Post a Comment