সপ্তাহে কতদিন ব্যায়াম করা উচিত

সপ্তাহে কতদিন ব্যায়াম করা উচিত

সপ্তাহে কতদিন ব্যায়াম করা উচিত? খাবার খাওয়ার কতক্ষণ পর ব্যায়াম করা উচিত? কত বছর বয়স থেকে ব্যায়াম করা যায়? - বন্ধুগণ একজন মানুষের সুস্থ থাকার জন্য তার শারীরিক ব্যায়াম করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু আপনি যদি নিয়ম না মেনে বা ব্যায়াম করার সঠিক তথ্য না জেনে ব্যায়াম করেন তাহলে আপনার এটি ক্ষতির কারণ হয়ে  দাঁড়াতে পারে। 

তাই আজকের আর্টিকেলে আমরা ব্যায়াম সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের তথ্য ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব যেগুলো মেনে চললে আপনার ব্যায়ামের মাধ্যমে শারীরিক সুস্থতা বজায় থাকবে।

সপ্তাহে কতদিন ব্যায়াম করা উচিত


এটি এখন আর কখন কারো অজানা নেই যে শান্তি ও থাকা অথবা ব্যায়াম করা হলো স্বাস্থ্যসম্মত জীবন ধারণের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ সুস্থ থাকতে অথবা শরীরকে ফিট রাখতে নিয়মিত ব্যায়ামের বিকল্প নেই।

কিন্তু আপনার দিনে বা সপ্তাহে বা মাসে কতটুকু ব্যায়াম করা উচিত এটি মূলত নির্ভর করছে আপনার ফিটনেস এর ওপর এছাড়া বিবেচনা করার মত আরো কিছু বিষয় রয়েছে।

ব্যায়ামের ক্ষেত্রে বিবেচনা করার জন্য কিছু সাধারণ নীতি রয়েছে যা প্রায় সময় পার্সোনাল ট্রেইনাররা টমম্যান বলে থাকেন।

তিনি দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট কে বলেন আপনি কোন ধরনের ব্যায়াম করবেন তা নির্ভর করছে আপনার শারীরিক ক্ষমতা ফিটনেস লক্ষ ্য পছন্দ-অপছন্দ যন্ত্রপাতির সহজলভ্যতা আপনার কোন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে এবং আপনি কত সময় দিতে পারেন তার উপর ভিত্তি করে।

দুর্ভাগ্যজনক সত্য এই যে সপ্তাহে এক বা দুইবার জিমে গেলে তেমন কোন উপকার পাবেন না সপ্তাহে চার অথবা পাঁচ সেশন হলো আদর্শ মেনুস বলেন প্রকৃত ফলাফল দেখতে হলে আপনাকে প্রতি সপ্তাহে অন্তত তিনবার জিমে যেতে হবে তিনি যোগ করেন ঘন ঘন জিমে গেলে আপনার শরীর অধিক নমনীয় অধিক শক্তিশালী অধিক ফিট হতে পারবে।

তিনি আরো বলেন ব্যায়ামের প্রতি সেশনের স্থায়িত্ব ৪৫ মিনিট থেকে এক ঘন্টা হওয়া উচিত তার পছন্দের রুটিনে ১০ মিনিট ওয়াm up 30 থেকে 40 মিনিট ওয়েট ট্রেনিং এবং পাঁচ থেকে দশ মিনিট কুল ডাউন ও স্কেচিং অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

কন্ডিশনিং সেশন ও ইন্টারভাল ট্রেনিং এর ক্ষেত্রে ৩০ মিনিটে সর্বোত্তম উনার মতে একদিন ওয়েট লিফটিং বা ভারত তুলন করে পরের দিন বিশ্রাম নেওয়া উচিত এতে মাংসপেশী রিকভার করার সময় পাবে কিন্তু প্রতিবার আপনার শরীরের ভিন্ন ভিন্ন অংশকে দিয়ে ভারত চলন করলে একদিন বিশ্রামের প্রয়োজন নেই।

তথ্যসূত্র:  রিডার্স ডাইজেস্ট

খাবার খাওয়ার কতক্ষণ পর ব্যায়াম করা উচিত?


ওয়ার্কআউট কে জ্বালানি দিতে এবং শক্তি সঞ্চয় করার জন্য ব্যায়াম করার আগে খাওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ তবে ব্যায়ামের কতক্ষণ আগে খাবার খাওয়া শরীরের জন্য ভালো তা অনেকেই জানতে চান বা প্রত্যেকের জন্যই জানা জরুরী।

ভারী খাবারের সঙ্গে সঙ্গে ব্যায়াম করা একদম ঠিক নয় আবার একদম খালি পেটেও ব্যায়াম করা যাবে না ব্যায়ামের আধা ঘন্টা আগে এবং খাবার খাওয়ার আধা ঘন্টা পরে ব্যায়াম করা যেতে পারে।

খাবার খাওয়ার কত সময় পর ব্যায়াম করবেন

খাবার খাওয়ার সময় খাদ্য পাকস্থলীতে প্রবেশ করে ধীরে ধীরে প্রতিক্রিয়া জাত হয় এবং অল্প পরিমাণে আপনার ছোট-ন্ত্র ছেড়ে দেওয়া হয় সাধারণত পাকস্থলী থেকে ছোট ছোট তন্ত্রের খাবার সম্পূর্ণভাবে যেতে দুই থেকে চার ঘণ্টা সময় লাগে।

যদিও প্রেম করার আগে খাবার পুরোপুরি হজম না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা সাধারণত অপ্রয়োজনীয় তবে প্যাড স্থির হওয়ার জন্য কিছু সময় নেওয়া ভালো।

সাধারণ বিশেষজ্ঞগণ আপনার ওয়ার্কআউট কে জ্বালানি দিতে এবং পেটের সমস্যা প্রতিরোধ করতে একটি ছোট খাবারের এক থেকে দুই ঘন্টা এবং একটি জল খাবারের ৩০ মিনিট পরে ব্যায়াম করার পরামর্শ দেয়।

এই সময়ের মধ্যেই পেট খারাপ এড়াতে খাবারের পর্যাপ্ত পরিমাণে হজম হয়।

ডায়াবেটিক হলে ভারী খাবারের পর ব্যায়াম করা প্রয়োজন তবে সাধারণ লোকের জন্য ভারী খাবারের দুই ঘন্টা তিন ঘন্টা ব্যাপর ব্যায়াম করলে ভালো হয় এতে দেহের শর্করার মাত্রাও ঠিক থাকে কখনোই খালি পেটে ব্যায়াম করতে যাবেন না এটি করলে শরীরে অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে।

ব্যায়ামের আগে খাবারের তালিকা:


  • কলা
  • যব
  • ব্রাউন ব্রেড
  • ফল
  • দই
  • আপেল
  • এক গ্লাস দুধ
  • কাঠবাদাম
  • টোস্ট বিস্কিট
  • মিষ্টি আলু সিদ্ধ করা
  • ব্রকলি সিদ্ধ
  • ওটমিল
  • জেলি স্যান্ডউইচ
  • ডিম

এ ধরনের হাই প্রোটিন জাতীয় খাবার গুলো খেয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে যার সময়সীমা হতে পারে দুই থেকে তিন ঘন্টা এরপরে আধাঘন্টা ব্যায়াম করুন।

ব্যায়ামের আগে নিষিদ্ধ খাবার তালিকা


  • অতিরিক্ত চিনি যুক্ত খাবার
  • ভাসাপোড়া জাতীয় খাবার
  • মসলাদার খাবার
  • অ্যালকোহল

খাবারের পর সাথে সাথে ব্যায়াম করলে কি হয়?


  • বমি বমি ভাব
  • বমি হতে পারে
  • অন্ত্রে প্রচুর গ্যাস হওয়া
  • ডায়রিয়া
  • অলসতা
  • শিরোটান
  • বুক জ্বালাপোড়া

এসব  ও নানাবিধ অসুস্থতার শরীরে দেখা দিতে পারে তাই খাবারের সাথে সাথে ব্যায়াম করা থেকে বিরত থাকতে হবে। তীব্র খেলোয়াড় যেমন দৌড়বিদ এবং সাই কিলোস্ট্রা তাদের খেলাধুলার পথিক প্রকৃতির কারণে এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলোর সম্মুখীন হওয়ার সর্বোচ্চ ঝুঁকি থাকে।

কত বছর বয়স থেকে ব্যায়াম করা যায়


এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আপনি কত বছর বয়স থেকে জিম করার উপকারিতা ভোগ করবেন বা কোন বয়সে ব্যায়াম করলে ক্ষতির সম্মুখীন হবেন?

যদি শিশুদের মধ্যে হাটা সাইকেল চালানো সাঁতার শুরু করার জন্য কোন বয়সের সীমা নেই তাহলে কেন সেখানে জিম শুরু করার আগে বয়সের সীমা আছে আমরা যদি জিম এর ব্যায়ামগুলি দেখি তাহলে আপনি সহজে বুঝতে পারবেন যে এইসব ব্যায়াম প্রাকৃতিক এবং স্বাভাবিক ব্যায়াম যেমন পুশ অ্যাপস স্কোয়াড চেন অ্যাপস বারবেল কার ইত্যাদি ব্যায়াম প্রাকৃতিক বায়ো মেকানিক্যাল যেখানে বেশি বেশি গ্রুপ আন্দোলনের সঙ্গে বরাবর প্রতিরোধের বিরুদ্ধে সচেষ্ট হয়।

১৪ বছর বয়স থেকে একজন ব্যক্তি ব্যায়াম করতে পারেন এতে তার কোন সমস্যা হবে না বরং ১৪ বছর বয়সে প্রায় জিম শ্রেষ্ঠ কার্যক্রম দেয় যেখানে সুবিধা গুলি কোন সমস্যা ছাড়াই অর্জন করা যেতে পারে পুরুষ ও নারীদের মধ্যে এই বয়সের স্বাভাবিক হরমোন প্রবাহ বেড়ে যায় এবং প্রাকৃতিক বৃদ্ধি ফ্যাক্টর। 

জিমে ব্যায়াম পুরুষকে ভালো শক্তিশালী বেশি বহুল চর্বিহীন এবং সুস্থ দেহ প্রদান করে নারীদেরকে ভালো কণ্ঠর সঙ্গে সুষম চর্বিহীন সুস্থ প্রদান করে সাবধান হতে হবে যে শিশুরা ভালো যোগ্যতা সম্পন্ন এবং প্রেরণা প্রশিক্ষক অধীনে মানসিকভাবে সুস্থ ভালো ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে শিক্ষা নিতে পারে।

সর্বশেষ: আজকের এই আর্টিকেল থেকে ব্যায়াম সংক্রান্ত তথ্যগুলো আশা করছি এগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়লে উপকৃত হতে পারবেন আমাদের ওয়েবসাইট ঘুরে দেখার আমন্ত্রণ রইল ধন্যবাদ।


Post a Comment

Post a Comment (0)

Previous Post Next Post