শারীরিক ব্যায়াম করা প্রত্যেকটি মানুষের জন্য শরীরের পক্ষে খুবই কার্যকরী। তবে ব্যায়াম করার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কেও যথেষ্ট জ্ঞান রাখতে হবে। যেমন আপনি কখন ব্যায়াম করবেন কি ব্যায়াম করবেন কত সময় ব্যায়াম করবেন বা কখন ব্যায়াম করতে পারবেন না। যাবতীয় বিষয়গুলো অবশ্যই জানা প্রয়োজন।
ব্যায়াম করার উপকারিতা ও অপকারিতা
ব্যায়াম করার সবচেয়ে ভালো দিক হচ্ছে প্রথমত ওজন কন্ট্রোলে থাকে এবং শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় যার কারণে একজন মানুষ দীর্ঘ সময় সুস্থ থাকতে পারে তাই ব্যায়াম করার কোন জুড়ি নেই ব্যায়াম আপনাকে করতেই হবে।
চলুন আজকের আর্টিকেল থেকে এটা জেনে নেই যে ব্যায়াম করার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
ব্যায়াম করার উপকারিতা
সুস্থ জীবন যাপনের জন্য লাইফস্টাইলে যোগব্যায় াম অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন এটি আমাদের শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ রাখে এখনকার ব্যস্ত জীবনযাত্রার কারণে মানুষের যোগব্যায়াম ও ব্যায়াম করার সময় নেই কিন্তু তারপরেও দিনের একটি সময় আপনাকে ব্যায়াম করতে হবে কারণ ব্যায়াম করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় যেটি আমাদের জীবনে সুস্থতা এর সময় বাড়ায়।
সকালে ব্যায়াম করার উপকারিতা
শরীরচর্চায় অনেক উপকার পাওয়া যায় প্রতিদিন সকালে ব্যায়াম শরীরের বেশি শক্তিশালী করে সকালে টেস্ট ইস্টারন এর মাত্রা শরীরে বেশি হয় তাই সকালে অধিক ব্যায়াম করার মাধ্যমে বেশি শক্তিশালী হয় শরীরের পেশিগুলো ব্যায়াম করার ফলে সতেজ হয়ে যায় এবং যে কোন কাজ সহজ হয়ে যায় আজকাল মানুষ মানসিক চাপ নিয়ে খুব সমস্যায় পড়েছেন যার কারণে তারা তাদের প্রতিদিনের কাজ সঠিকভাবে করতে পারছেন না এছাড়াও চাপ বৃদ্ধি ফলে একজন ব্যক্তির মানসিক অসুস্থতার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
সবচেয়ে উপকারী ব্যায়াম
সবথেকে উপকারী ব্যায় াম হলো দৌড়ানো দৌড়ালে শরীরের কর্মক্ষম এবং সুস্থ থাকে ফলে দীর্ঘদিন সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারবেন ব্যায়ামের মূল উদ্দেশ্যে বাড়তি ওজন ঝেড়ে ফেলা প্রতিদিন এক ঘন্টা ধরে প্রায় ৮০০ ক্যালোরি পড়বে শরীর থেকে।
ব্যায়াম করার অপকারিতা
আমেরিকান কাউন্সিল অফ এক্সেসাইজের জ্যেষ্ঠ পরামর্শদাতা এবং সেম ডিয়াগোর মিরামার কলেজের শরীর চর্চা বিদ্যার সহকারী অধ্যাপক জেসিকা মিথুস বলেন এটা সত্য যে ব্যায়ামের পর শরীরে অল্প ব্যথা হওয়া ভালো এই ব্যথার মানে হলো আপনার মাংস বেশি শক্তিশালী হচ্ছে।
তবে তিনি সতর্ক করেন কিছুটা নির্দিষ্ট ব্যথা জটিলতার লক্ষণ যেমন অতিরিক্ত ব্যায়ামের ব্যথা সাধারণ ব্যথা আর জটিলতা লক্ষণ সুযোগ ব্যথার পার্থক্য চিহ্নিত করাটাই মূল কথা।
উপায় জানিয়েছে শরীরচর্চা বিষয়ক ওয়েবসাইট।
আকস্মিক ব্যথা: ধীর ও ক্রমবর্ধনশীল ব্যথা স্বাভাবিক। এর মানে হলো ব্যায়ামটি আপনার জন্য চ্যালেঞ্জিং তবে হঠাৎ করে তীব্র ব্যথা জটিলতার লক্ষণ।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ এডিট সার্জন মরিয়া মেকার্তি বলেন এক্ষেত্রে জোর করে নির্দিষ্ট ব্যায়াম করা যাবে না কারণে তে পেশীয় হাড়ের জোড়ায় আঘাত লাগতে পারে।
জগিং এরপর পা ফোলা: জগিং বা হাঁটাহাঁটির পর পায়ের পাতা বা হাঁটুতে ফোলা ভাব পানি আসা কিংবা লালচে ভাব দেখা দেয়া এবং নিয়মিত ব্যাথা অতিরক্ত হাঁটাহাঁটির উপসর্গ।
মেকার টি বলেন প্রথম কয়েকদিন রয়েছে আপনার আরো বেশি সময় নিয়ে ওয়ার্ম আপ ও স্কেচিং করতে হবে।
এরপর ব্যথা হলে ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ এর পরামর্শ নিতে হবে।
ব্যায়াম তিন দিন আগে, ব্যথা আছে আজও: ব্যায়াম শুরু করার প্রথম কয়েকদিন ব্যাথা হওয়া স্বাভাবিক। এর কারণ হলো মাংসপেশির ছোট টিস্যু ছেড়ে যাওয়া।
এছাড়া অংশগুলো যখন পূর্ণ গঠিত হয় তখন বেশি আরও শক্তিশালী হয়। তবে তার দু একদিনের মধ্যেই সেরে যাওয়া উচিত। আরো বেশি সময় ব্যাথা থাকলে বুঝতে হবে আপনি মাংসপেশির উপর বেশি চাপ দিয়ে ফেলেছেন।
ব্যাথা সেরে যাওয়ার পর ব্যায়াম আগারে যেতে হবে কারণ এই অবস্থায় ব্যায়াম করলে ব্যায়াম এক পিসি হতে পারে যার কারণে পরের দীর্ঘ মেয়াদে জটিলতা দেখা দিতে পারে।
নির্দিষ্ট ব্যামে ব্যথা পাওয়া: এটিও বিপদের পূর্বাভাস। যদি ব্যথা তীব্র হয় তবে অর্থ পেডিক স্পেশালিস্টের স্বর্ণগণ্য হওয়া উচিত আর সহনশীল ব্যথা হলে ব্যায়ামের আগে শরীরকে ব্যায়ামের জন্য প্রস্তুত করে নেওয়া উচিত।
যোগ ব্যায়াম এর উপকারিতা
যোগব্যায়াম আমাদের শরীরে যে ধরনের পরিবর্তন ঘটায় সেটি অনেক ক্ষেত্রেই শরীরের জন্য ভালো যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে লক্ষ্য করুন।
- শারীরিক ও মানসিক ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে।
- শরীরে জমা থাকা বিষ টক্সিন দূর করতে যোগব্যায়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।
- যোগব্যায়াম আমাদের পেটের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ যেমন পাকস্থলী ক্ষুধার্ত বৃহদান্ত জকিদ কার্যকর করে ফলে হজম শক্তি উন্নত হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
- চাপ দূর করতে যোগ ব্যায়ামের বিকল্প নেই।
- শরীরের রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে যোগব্যায়াম যার ফলে অভ্যন্তরীণ শক্তি প্রবাহের মাত্রা বেড়ে যায় ফলে আমরা কর্ম উদ্দীমি হয়ে উঠি।
- শরীর ও মন আত্মার একত্র কর্ণের মাধ্যমে যোগব্যায়াম আমাদের একটি বিষয়ের প্রতি একাগ্রতা আনতে সাহায্য করে।
- মনের চঞ্চলতা কমায় ধৈর্য শক্তি বাড়ায়।
- মেয়েদের পিরিয়ডের সময় ব্যাথা নিরাময় করতে সাহায্য করে নারীদের ডিম্বাশয় ভালো থাকে ফলে প্রয়োজন ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
- যোগব্যায়াম বিচলিত বিক্ষিপ্ত মনকে শান্ত করতে সাহায্য করে এতে চিন্তা করার দক্ষতা বাড়ে এবং আমরা সৃজনশীল হয়ে উঠতে পারি।
যোগ ব্যায়াম করার পদ্ধতি
১। ৫ বা ৬ বছর বয়স থেকে শুরু করে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত যোগ ব্যায়াম করার অভ্যাস করা যায় শুধু প্রয়োজন অনুযায়ী কয়েকটি আসন বেছে নিতে হবে সব বয়সে সব রকম আসন করা যায় না অল্প বয়সী ছেলে মেয়েদের কোন আসন দুই বারের বেশি করা ঠিক নয় ছেলেদের ১৪ বা ১৫ বছর বয়সের পূর্বে আর মেয়েদের ঋতু প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত প্রণয়ন ও মুদ্রা অভ্যাস করা উচিত।
২। সকাল সন্ধ্যা ও গোসলের পূর্বে রাতে যে কোন সময় যোগ ব্যায়াম করা যায় তবে সে সময় যেন ভরা পেট না থাকে অল্প কিছু খেয়ে আধ ঘন্টা পরে আসন করা যেতে পারে কিন্তু প্রণায়াম বা মুদ্রা খালি পেটে অভ্যাস করায় বাঞ্ছনীয়।
প্রতিক্রিয়া বিয়ের পর আসন করা ভালো তবে যাদের কষ্ট বদ্ধতা পেট ফাঁপা প্রভৃতির রোগে আছে তারা সকালে ঘুম থেকে উঠেই বিছানায় কয়েক টি নির্দিষ্ট আচরণ মুদ্রা করতে পারেন যাদের অনিদ্রতা রোগ আছে রাতে খাবারের পর সবার পূর্বে কিছুক্ষণ ভদ্রসন করলে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে এছাড়া বর পেট খাওয়ার পর কিছুক্ষণ বজ্রসন বসলে খাদ্য ওজন হতে পারে।
সর্বশেষ: ব্যায়াম করার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আজকের লেখা আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা অন্তত ভালো মানের উপকৃত হতে পারবেন কারণ এখানে আমরা ব্যায়ামের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছে আশা করছি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লাগবে আমাদের ওয়েবসাইট ঘুরে দেখতে পারেন অসংখ্য ধন্যবাদ।
আরো পড়ুন: সপ্তাহে কতদিন ব্যায়াম করা উচিত
Post a Comment