প্রযুক্তি কাকে বলে । আধুনিক প্রযুক্তি কি । প্রযুক্তির সুবিধা ও প্রকারভেদ

আধুনিক প্রযুক্তি কি ।  প্রযুক্তির সুবিধা ও প্রকারভেদ

প্রযুক্তি কাকে বলে ।  আধুনিক প্রযুক্তি কি ।  প্রযুক্তির সুবিধা ও প্রকারভেদ।  এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আজকের আপনাদের জানাবো প্রযুক্তির এ টু জেড তথ্য সম্পর্কে।

আমাদের এ আই বিডি-২৪ ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম।


প্রযুক্তি কাকে বলে ।  আধুনিক প্রযুক্তি কি ।  প্রযুক্তির সুবিধা ও প্রকারভেদ


টেকনোলজি বা প্রযুক্তি হলো আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছিন্ন অংশ। আমাদের সমাজে প্রযুক্তি হলো বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের বিভিন্ন ব্যবহার।

যে ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে আরো দ্রুত উন্নত সহজ ও মসৃণ করে তোলার উদ্দেশ্যে ব্যবহারিত হয়।

স্বাভাবিকভাবেই আমরা ব্যবসা শিল্প যোগাযোগ ও চিকিৎসা বিজ্ঞানের জগতের প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার করে থাকি। 

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা সম্পূর্ণ বিস্তারিত আলোচনা করছি টেকনোলজি বা প্রযুক্তি কি কাকে বলে আধুনিক প্রযুক্তি কি এর প্রকারভেদ এবং এর সুবিধা সম্পর্কে।

প্রযুক্তি কাকে বলে / প্রযুক্তি কি


টেকনোলজি শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে গিরিক শব্দ 'টেকনে' থেকে। যা শিল্প ও নৈপান্নের সাথে সম্পর্কিত, ও 'লগিয়া' যা অধ্যায়নের সাথে যুক্ত শব্দটি থেকে।

এই দুটি শব্দের একত্র সংমিশ্রনেই তৈরি হয়েছে টেকনোলজিয়া শব্দটির যার অর্থ হলো পদ্ধতিগত চিকিৎসা।

বিগত ২ শতাব্দীতে প্রযুক্তি শব্দটির ব্যবহার চরমভাবে বদলেছে। প্রযুক্তি হলো এক ধরনের উপায়- যার সাহায্যে আমরা বৈজ্ঞানিক জ্ঞানকে ব্যবহারিক উদ্দেশ্যে প্রয়োগ করে থাকি।

প্রযুক্তি, সরাসরি মেশিন, যেমন কম্পিউটার। কৌশল ও প্রতিক্রিয়ার (যেমন আমরা যেভাবে কম্পিউটার চিপ বানাই) বিষয়গুলো কি অন্তর্ভুক্ত করে থাকে।

আমরা বর্তমানে মনে করতেই পারি যে সমস্ত প্রযুক্তি গুলো কেবলমাত্র ইলেকট্রনিক্স- তবে এখনো পর্যন্ত এটাই হলো সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তি।

কিন্তু আদিম সভ্যতার প্রেক্ষাপটে আদিম মানুষদের ব্যবহার করা পাথর বা লোহার হাতুড়ি এমনকি চাকা ও ছিল প্রাথমিক মানবপ্রযুক্তির দুটি জ্বলন্ত উদাহরণ।

১৯৪০ এর দশকের মধ্যে প্রযুক্তি বা টেকনোলজি কেবলমাত্র শিল্প অধ্যায়নের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকার পরিবর্তে এটি- যন্ত্রপাতি, সরঞ্জাম, অস্ত্র, যোগাযোগ ও পরিবহন যন্ত্র গুলোকেও নিজের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেছে।

সেই সাথে নিজেদের দক্ষতা গুলোকে বৃদ্ধি করে মানুষ, প্রযুক্তির উল্লেখযোগ্য ভাবে ব্যবহার ও প্রসার ঘটিয়েছে।

আসলে প্রযুক্তিকে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে, মানব জীবনের উন্নতির লক্ষ্যে ব্যবহার করা বৈজ্ঞানিক জ্ঞান হিসেবে, যা তাদের জীবনযাত্রাকে আধুনিক থেকে আধুনিকতর ও বাস্তবসম্মত গড়ে তোলে।

এক কথায় প্রযুক্তি এমন একটি বস্তু যা নতুনত্ব আবিষ্কারের ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়। 

আশা করি প্রযুক্তি বলতে কী বোঝায় বা প্রযুক্তি কি এই শব্দটা সম্পূর্ণটাই বুঝতে পেরেছেন। 

আধুনিক প্রযুক্তি কি ?

আধুনিক প্রযুক্তি কি ।  প্রযুক্তির সুবিধা ও প্রকারভেদ


প্রযুক্তি বরাবরই উন্নতির পথে এগিয়ে চলে আর এটা সবসময়ই প্রগতিশীল। 

এক্ষেত্রে, আধুনিক প্রযুক্তিকে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে এইভাবে যে, আধুনিক প্রযুক্তি হল পুরনো প্রযুক্তির অগ্রগতির পাশাপাশি নতুন প্রযুক্তির সংযোজন।

এ মূলত, মর্ডান টেকনোলজি সর্বত ভাবেই গতিময় ও সমাজে মানব সভ্যতার দক্ষতা বৃদ্ধির হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে।

উদাহরণস্বরূপ এভাবে বলা যায় যে, বর্তমান সময় দাঁড়িয়ে আমরা তার সমেত টেলিফোনের কথা কল্পনাও করতে পারি না।

আমাদের এখনকার লেটেস্ট বা সর্বশেষ আধুনিক প্রযুক্তি হলো মোবাইল ফোন।

যেটা আমরা সারা পৃথিবী রাজ্যই নিজেদের সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে পারি এবং যেকোনো স্থানে বা যেকোনো সময় বসে বিনা বাধার যার সাথে খুশি যোগাযোগ করতে পারে। 

এমন কি এটা ভিডিও কল আদান-প্রদানের মাধ্যমেও কিছুটা আধুনিক প্রযুক্তির বিষয়ে ধারণা করা যেতে পারে।


তাই, স্মার্টফোন হল এই জামানায় আধুনিক প্রযুক্তির সবথেকে নিখুঁত উদাহরণ।

অর্থাৎ, আধুনিক প্রযুক্তি আমাদের মুখোমুখি যোগাযোগকে নিশ্চিত করেছে।

এর সাহায্যে আমরা স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে সক্ষম, এমনকি আমরা যে ধরনের পরিষেবা পেতে, সেগুলো আমরা আরো সহজ করে এক্সেস কিংবা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি।

তাছাড়াও, এই আধুনিক প্রযুক্তি আমাদের জীবনের এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হয়ে উঠেছে যে, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা যা কিছু ব্যবহার করি, প্রত্যেকটি প্রোডাক্ট প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবেই প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সাথে সম্পর্কিত।

তাই, আমরা চাইলেও কোনভাবেই এই আধুনিক প্রযুক্তি থেকে এড়িয়ে চলতে পারি না। 

আমাদের সর্বশেষ আধুনিক প্রযুক্তি গুলোর মধ্যে রয়েছে দ্রুততম ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদান করি ৫জি নেটওয়ার্ক, সেলফ ড্রাইভিং ক কারস, রোবোটিক সার্জারি, মাইক্রো নীডল্স, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ও আরো অন্যান্য ইত্যাদি সামগ্রী।




প্রযুক্তির প্রকারভেদ

আধুনিক প্রযুক্তি কি ।  প্রযুক্তির সুবিধা ও প্রকারভেদ


প্রযুক্তির আজকের আলোচনায় এ পর্যায়ে আমরা আলোচনা করব। প্রযুক্তির প্রকারভেদ সম্পর্কে, এবং প্রত্যেকটির প্রযুক্তি সম্পর্কে, বিস্তারিত আলোচনা করছি।

সহজ ভাবে বলতে হলে, প্রযুক্তি হলো মানুষের উদ্দেশ্য পূরণের একটা উপায়। 

যেহেতু, প্রযুক্তি সহজ থেকে শুরু করে অতিরিক্ত, তাই এর বিভিন্ন প্রকারভেদ করা হয়েছে যেগুলো নিচে আলোচনা করা হলো।

এক নজরে তথ্যপ্রযুক্তি বা টেকনোলজি এর প্রকারভেদ:


  • তথ্য প্রযুক্তি বা ইনফরমেশন টেকনোলজি
  • জৈব প্রযুক্তি বা বায়োটেকনোলজি
  • পারমাণবিক প্রযুক্তি বা নিউক্লিয়ার টেকনোলজি
  • যোগাযোগ প্রযুক্তি বা কম্যুনিকেশন টেকনোলজি
  • ইলেকট্রনিক্স প্রযুক্তি
  • চিকিৎসা প্রযুক্তি বা মেডিকেল টেকনোলজি
  • যান্ত্রিক প্রযুক্তি বা মেকানিক্যাল টেকনোলজি
  • উপকরণ প্রযুক্তি বা মেটেরিয়ালস টেকনোলজি

এবার প্রত্যেকটি প্রকারভেদের বিস্তারিত আলোচনা।

তথ্য প্রযুক্তি বা ইনফরমেশন টেকনোলজি:

আধুনিক প্রযুক্তি কি ।  প্রযুক্তির সুবিধা ও প্রকারভেদ


তথ্যপ্রযুক্তি (It) শব্দটি কম্পিউটার সিস্টেম, সফটওয়্যার, ইন্টারনেট ও অন্যান্য অবকাঠামোকে নির্দেশ করে।

যা যে কোন প্রতিষ্ঠানের মূল ক্ষমতাকে সক্ষম করে।

এটি একটা কর্মবর্ধমান ও  ক্রমাগত বিকশিত একটি ক্ষেত্রে।

যেটা ডিজিটাল আকারে ইলেকট্রনিক্স ভাবে তথ্য গ্রহণ, সঞ্চয়, পুনরুদ্ধার, প্রতিক্রিয়াকরণ কিংবা প্রেরিত সমস্ত যন্ত্রপাতিকে অন্তর্ভুক্ত করে।

এর মধ্যে রয়েছে রেডিও, টেলিভিশন, মোবাইল ফোন, কম্যুনিকেশন ডিভাইস, স্যাটেলাইট সিস্টেম এর মত আরও অনেক নানান ধরনের পরিষেবা।

বর্তমানে, বহু কোম্পানি তাদের কম্পিউটার পরিচালনা, ডেটাবেজ তৈরি করা, নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবসায়িক তথ্য ব্যবস্থা দক্ষতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আইটি প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে থাকে।

কম্পিউটার সফটওয়্যার এর সাম্প্রতিক অগ্রগতি, কোম্পানিগুলোকে তথ্য বিশ্লেষণের ব্যাপক স্বাধীনতা দিয়ে তাদের সার্বিক উন্নতিতে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে।

বিগত এক দশকে, কারিগরি বিশেষজ্ঞরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মেশিন লার্নিং এর ব্যাপারে অনুসন্ধান করে চলেছেন,

যাতে কম্পিউটার রিয়েল টাইম তথ্য ব্যবহার করে আমাদের মত স্বাধীন মতামত প্রকাশ করতে পারে।

এই সময়ে এ আই মানুষের থেকে অনেক নিখুঁত কাজ করতে সক্ষম: যেমন ঐতিহাসিক প্রবণতার উপর নির্ভর করে ভবিষ্যতের ফলাফলের পূর্বাভাস দেওয়া,

ত্রুটি বের করা, সংক্রিয়ভাবে জটিল বিশ্লেষণাত্মক কাজ করা ও ইত্যাদি।

বর্তমানে, ব্লকচেইন হলো এই প্রযুক্তির সবথেকে নিরাপদ ও উন্নত মানের ডাটাবেজ বা তথ্য সংরক্ষণের উপায়।

যা যে কোন ব্যবসায়িক নেটওয়ার্কের সেরা তথ্যের নিরাপত্তা, স্বচ্ছতা ও ট্রেসেবিলিটি দিতে সক্ষম।

এছাড়া ও, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং কে এই তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশের পরবর্তী প্রজন্মের উল্লেখযোগ্য বিবর্তন হিসেবে গণ্য করা হয়।

জৈব প্রযুক্তি বা বায়োটেকনোলজি



জৈব প্রযুক্তি হলো এক ধরনের ব্যাপক বিস্তৃত পরিসর। এই প্রযুক্তিকে জীবন্ত প্রাণী বা তাদের অংশগুলো থেকে সমাজের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য তৈরি করতে কাজে লাগানো হয়ে থাকে।

বায়োটেকনোলজি সমাজের উপকারের জন্য ডায়াগনস্টিক, কৃষি, পরিবেশগত ও ফার্মাসিটিক্যাল এর পাশাপাশি অন্যান্য পণ্য তৈরির ক্ষেত্রে প্রাণীদের জীবন্ত কোষ ও সেলুলার উপকরণ ব্যবহার করে থাকে।

এমনকি, এই বিদ্যা প্রাণীদের জেনেটিক ডেটা পরিবর্তন করতেও ব্যবহার করা হয়।

উদাহরণস্বরূপ, থেরাপিউটিকস, ঔষধ, পুষ্টির যৌগ, পরিবেশবান্ধব রাসায়নিক উপকরণ, জৈব জ্বালানি ও অভিনব কার্যকারী উপাদান গুলো জৈব প্রযুক্তির মাধ্যমে সৃষ্টি ও করা হয়।

জিন এডিটিং, বায়োপ্লাস্টিক, এনার্জি প্রভৃতি হল এই প্রযুক্তির অন্যতম আবিষ্কার।

পারমাণবিক প্রযুক্তি বা নিউক্লিয়ার টেকনোলজি


পারমাণবিক প্রযুক্তি হলো এমন এক ধরনের প্রযুক্তি যা বিশেষ কৌশল ব্যবহার করে নিউক্লিয়াসের কিছু নির্দিষ্ট উপাদান পরিবর্তনে টেনে তাকে ব্যবহারযোগ্য শক্তিতে রূপান্তরিত করে।

পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য এই প্রযুক্তি চরমভাবে ব্যবহার করা হয়।

এই শক্তি অতি দ্রুত ফুটন্ত পানির বাম তৈরি করার জন্য খুবই সেরা একটি উপায়।

যা থেকে তার বাইন গুলোর মাধ্যমে সহজেই ড্রাই বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা সম্ভব।

এছাড়াও, এই প্রযুক্তির দান হিসেবে ধরা যায়, রেডিও থেরাপি, ডিসপোজেবল পণ্যের জীবাণমুক্তকরণ, স্ম োক ডিটেক্টর, মহাকাশ অভিযানে ব্যবহৃত রেডিও আইসোটোপ থার্মাল জেনারেটর ও আরো ও অন্যান্য।

যোগাযোগ প্রযুক্তি বা কম্যুনিকেশন টেকনোলজি


সাম্প্রতিককালে যোগাযোগ প্রযুক্তি মূলত হল আইটি প্রযুক্তরি একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

এই প্রযুক্তি ব্যবহারে ফলে মানুষ মেশিনের মাধ্যমে বার্তা বা তথ্য স্থানান্তর করতে পারে।

তথ্যের এই প্রতিক্রিয়াকরণ মানুষকে সিদ্ধান্ত নিতে, সমস্যা সমাধান করতে ও মেশিন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে।

নেটওয়ার্কের উন্নতি, প্রধানত কম্পিউটার ডিভাইসের সাম্প্রতিক অগ্রগতির ফলেই সম্ভব হয়েছে।

এই যন্ত্র গুলোর মধ্যে বেশ কতগুলো শুধুমাত্র কয়েকটি বিশেষভাবে নেটওয়ার্ক অ্যাপ্লিকেশনের জন্য তৈরি করা হয়েছে আর তথ্য এক স্থান থেকে অন্য স্থানের দ্রুত সঞ্চালনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এটি কোন ব্যক্তিগত বা পাবলিক নেটওয়ার্ক ব্যবহারের মাধ্যমে তথ্য, স্থানান্তর ও প্রদান করাকে যথেষ্ট সহজ করে তুলেছে।

এমনকি, এই প্রযুক্তি ই-সম্পদ ও গুণগত পরিষেবা গুলোর মান উন্নয়নেও যথেষ্ট ভালো ব্যবস্থাপনা করেছে।

লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক, টেলি টেক্সট, ভিডিও টেক্সট, ইন্টারনেট, ওয়ারলেস তথ্য স্থানান্তর, ও জিপি এর সহ এই প্রযুক্তির চরমতম অবদান।

ইলেকট্রনিক্স প্রযুক্তি


ইলেকট্রনিক্স প্রযুক্তি হলো বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব ও নীতিগুলোর প্রয়োগের মাধ্যমে ঘটানো বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রাংশ, সিস্টেমের নকশা, সরঞ্জাম, উৎপাদন, ইনস্টলেশন, পরীক্ষা, পরিষেবা, ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিক্রিয়ার কৌশলগত উন্নয়ন।

এই প্রযুক্তিকে বাণিজ্যিক থেকে শুরু করে আবাসিক ও কারখানা পর্যন্ত সমস্ত শিল্পের ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

স্মার্ট ফোন, ডিজিটাল ক্যামেরা, কম্পিউটার, পাওয়ার সাপ্লাইয়ার, রাডার, মাল্টিমিটার, ইন্টারেক্টিভ, সেন্সর ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ সবই এই প্রযুক্তির দান।

চিকিৎসা প্রযুক্তি বা মেডিকেল টেকনোলজি


বিজ্ঞানের প্রয়োগের মাধ্যমে চিকিৎসা প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আমরা রোগ, আঘাত কিংবা অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা প্রতিরোধের সমাধান তৈরি করে থাকি।

চিকিৎসা প্রযুক্তি মূলত চিকিৎসার সরঞ্জাম, সিস্টেম, সুবিধা ও চিকিৎসা পদ্ধতির ওপর নজর দিয়ে থাকে।

এই প্রযুক্তি দ্বারা নির্মিত মেডিকেল যন্ত্রপাতির মধ্যে পড়তে পারে কোন অন্যতর অপারেশনের যন্ত্র, ইমপ্ল্যান্ট, বিকারক বা কোন সফটওয়্যার।

সিরিন্স যে থেকে শুরু করে প্রেশার মাপার যন্ত্র, মেডিকেল ইমেজিং প্রযুক্তি তথা এক্সরে ও এম আর আই মেশিন পর্যন্ত, সমস্ত চিকিৎসা যন্ত্র গুলোই রোগ নির্ণয়, পর্যবেক্ষণ, চিকিৎসা, প্রতিরোধ ও রোগের উপশমে ও যথেষ্ট সাহায্য করে থাকে।

এই প্রযুক্তির আরও একটা বড় দান হল থ্রিডি প্রিন্টিং।

গত এক দশকে, রোবটিক্স চিকিৎসা ও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

মেডিকেল রোবট গুলো চিকিৎসকদের নানান ভাবে সাহায্য করে থাকে।

অস্ত্র পাচারের সময় এই আধুনিক রোবটিক অস্ত্রগুলো ডাক্তারদের আরো ভালোভাবে ও দক্ষ পদ্ধতিতে অপারেশন করতে সাহায্য করে।

এটিই হল চিকিৎসা প্রযুক্তি বা মেডিকেল টেকনোলজি এর একটি চমৎকার উদাহরণ।

যান্ত্রিক প্রযুক্তি বা মেকানিক্যাল টেকনোলজি


যান্ত্রিক প্রযুক্তি, কার্যকারী যান্ত্রিক কাঠামো তৈরি করতেও গতি নিয়ন্ত্রণ বা প্রেরণের জন্য যান্ত্রিক অংশ আর উপকরণগুলো একত্রিত করার কৌশল হিসেবে কাজ করে।

যান্ত্রিক রোবট, থ্রিডি প্রিন্টার, পাওয়ার প্লান্ট ব্যবহার করে গাড়ি তৈরির করাও এই প্রযুক্তির অন্যতম সেরা অবদান।

প্রধানত মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলজিস্টরা প্রোডাক্টের নকশা তৈরি, মেটারিয়াল বিজ্ঞান ও মেনুফাকচারিং পদ্ধতি থেকে প্রয়োজনীয় প্রোডাক্ট ও প্রোডাকশন মেশিনারি তৈরি করার জন্য এই প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার করে থাকেন।

উপকরণ প্রযুক্তি বা মেটেরিয়ালস টেকনোলজি


উপকরণ প্রযুক্তি হলো একটা অপেক্ষাকৃত ব্যাপক কৌশল: যা কাঁচামাল থেকে শুরু করে নির্দিষ্ট অ্যাপ্লিকেশনের জন্য প্রয়োজনীয় আকার ও অবকাঠামো নির্মাণের জন্য উপকরণের প্রতিক্রিয়াকরণের মাধ্যমে পণ্য উৎপাদন করে থাকে।

যেহেতু নানান উপকরণের নানান বৈশিষ্ট্য থাকে, তাই একাধিক উপকরণ মিশিয়ে কার্যকরী, যার নতুন অ্যাপ্লিকেশনের জন্ম দিয়ে থাকে।

এই প্রযুক্তির সাহায্যে কোন মেশিনের কার্যকারিতা বজায় রাখার জন্য, তার উপকরণগুলো অবক্ষয় ও অন্যান্য ক্ষতি প্রতিরোধ করার জন্য তৈরি করা হয়।

টেকনোলজি বা প্রযুক্তির সুবিধা সমূহ


প্রযুক্তি ব্যবহারের অসংখ্য সুবিধা রয়েছে, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সুবিধাগুলো আমরা এক এক করে নিচে আলোচনা করলাম ‌।

তথ্যের সহজ এক্সেস


ইন্টারনেট প্রযুক্তির দৌলতে আমাদের বিশ্ব এখন ভুবন গ্রামে পরিণত হয়েছে।

এই ইন্টারনেট হল মুক্ত তথ্য এক্সেস এর অন্যতম প্রধান যায়গা।

এর ফলে বিভিন্ন দেশের মানুষেরা তাদের দেশের বাহিরের নানান মানুষের সাথে তথ্য, আচার ব্যবহার ও সংস্কৃতি বিনা কোন বাধাতেই শেয়ার করে নিতে পারছে।

এর মাধ্যমে আপনি মুহুর্তের মধ্যেই পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে ঘটে যাওয়া ঘটনা, যেমন: খেলাধুল া রাজনৈতিক সামাজিক বিভিন্ন কর্মকান্ড সম্পর্কে জানতে পারছেন।

অর্থাৎ, বলা যায় যে, প্রযুক্তি আপনাকে উন্মুক্ত তথ্য ভান্ডারের সামনে বসিয়ে দিয়েছে। এটাই তথ্য প্রযুক্তির সহজ এক্সেস।


সময় সাশ্রয়ী


ম্যানুয়াল কাজের সমস্ত ঝুঁকিকেই কমিয়ে দিয়েছে।

কাঁচামালের দামের হিসেব যেখানে আমরা খাতায়-কলমে করতাম, সেই একই কাজ এখন আমরা করি আমাদের স্মার্টফোনে থাকা ক্যালকুলেটরের মাধ্যমে।

আগে যেখানে আমরা অনেকক্ষণ সময় নিয়ে রাস্তার লোকদের জিজ্ঞেস করে লোকেশনে পৌঁছাতাম, সেখানে জিপিএস এর ব্যবহার বা google ম্যাপসের ব্যবহার মুহুর্তেই মধ্যেই স্ক্রিনে ভাসিয়ে চলছে আমাদের যাত্রাপথের সঠিক ম্যাপ।

সুতরাং, বলা যায় যে টেকনোলজি আমাদের নিত্যকার জীবনের বহু সময় ও পরিশ্রম বাঁচাতে সক্ষমতা দেখিয়েছে।

সহজ যোগাযোগের মাধ্যম


শিল্প বিপ্লব থেকে দ্রুত যোগাযোগের চাহিদায় টেলিগ্রাফ, টেলিফোনের আবিষ্কারের পর থেকেই মানুষের জীবনের অন্যতম চাহিদা হয়ে দাঁড়ায় দ্রুত যোগাযোগের ব্যবস্থা উন্নতি।

আর, ঠিক সেখানেই প্রবেশ করে প্রযুক্তি। কয়েক শতকের মধ্যেই এই প্রযুক্তি জন্ম দেয় সেলফোন, স্যাটেলাইট, ফাইবার অপটিক্স ও ইন্টারনেট পরিষেবার মত উন্নত প্রযুক্তির।

যার সাহায্যে, আমরা সারা বিশ্বের যে কোন প্রান্তে থাকা মানুষের কাছে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে নিজেদের বার্তা কে সরাসরি পৌঁছে দিতে পারছি।

বর্তমানে, সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারে যোগাযোগ হয়ে উঠেছে, আরো দ্রুত, উন্নত, আরো সহজ ও আরো সাশ্রয়ী।

গতিশীলতা


ওলা উবের বুক করা থেকে, শুরু করে এয়ার প্লেনের মাধ্যমে হাওয়াই সফর করে, এদেশ থেকে ও দেশ ঘুরে বেড়ানো হয়ে উঠেছে, আমাদের কাছে কয়েক মুহূর্ত বা দিনের ব্যাপার।

অর্থাৎ, নিমেষের মধ্যে দেশ কাল সীমানার গণ্ডি পেরিয়ে নিরাপদে ওয়ার্ল্ড ট্যুর করা, সমস্তটাই সম্ভব হয়েছে প্রযুক্তির চরম উন্নতির কারণেই।

কয়েকটি প্রযুক্তির নাম:


বর্তমান বিশ্বে আপডেট প্রযুক্তির অন্যতম আটটি প্রযুক্তি নাম নিচে আলোচনা করা হলো।

  • প্রিন্টেড অর্গান
  • চশমায় স্মার্টফোন
  • হেডফোন বুঝবে আপনার মনের কথা
  • পকেট সাইজ আল্ট্রা সাউন্ড
  • সংক্রিয়ভাবে চালিত গাড়ি
  • হোভার বোর্ড
  • ডিজিটাল ট্রান্সলেটর
  • আপনার পশু কি ভাবছে
  • টেলিপোর্টাস
  • ফোর্স ফিল্ড

এখানে বর্তমান বিশ্বের সেরা কয়েকটি আবিষ্কার উত্থাপিত করা হলো এগুলো বর্তমানে ট্রেন্ডিংয়ে রয়েছে।

প্রযুক্তির শেষ কথা:


বন্ধুগণ এখানে আমরা তুলে ধরেছি, আশা করছি আপনারা প্রযুক্তি কি কাকে বলে বা প্রযুক্তি আমাদের জীবনে কতটুকু প্রভাব ফেলছে এ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা থেকে আপনারা অনেক কিছু জানতে পারবেন যা আপনাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজন হতে পারে।

আজকের আর্টিকেলটি সম্পর্কে আপনার মতামত কমেন্ট বক্সে জানাবেন আমাদের ওয়েবসাইট ঘুরে দেখার আমন্ত্রণ রইল ধন্যবাদ।


Post a Comment

Post a Comment (0)

Previous Post Next Post