উইন্ডোজ কি । উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের সুবিধা

উইন্ডোজ কি । উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের সুবিধা

উইন্ডোজ এই শব্দটি এর সাথে বর্তমান টেকনোলজির সবকিছুই জড়িত রয়েছে, উইন্ডোজ প্রধান বৈশিষ্ট্য কি? উইন্ডোজ কত প্রকার এবং উইন্ডোজ এর ব্যবহারের সুবিধা এবং অসুবিধা, উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম কি,লিনাক্স ও উইন্ডোজ এর মধ্যে পার্থক্য কি ?,লিনাক্স ব্যবহারে কি সুবিধা ও অসুবিধা,উইন্ডোজ ১০ এর সুবিধা,লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম কি।

লিনাক্স ব্যবহারে কি সুবিধা,উইন্ডোজ ১০ বনাম উইন্ডোজ ৭,উইন্ডোজ সেটাপ দেওয়ার পরে কি কি সফটওয়্যার বাধ্যতামূলক,উইন্ডোজ কি?,উইন্ডোজ ১১ আপনার পিসিতে ও চলবে,উইন্ডোজ ১০ সেটআপ,উইন্ডোজ,কম্পিউটারে কিভাবে উইন্ডোজ দিতে হয়,উইন্ডোজ ১০,উইন্ডোজ ১১,কিভাবে উইন্ডোজ দিতে হয়,লিনাক্স ব্যবহারে কি অসুবিধা,লিনাক্স ও উইন্ডোজ সম্পর্কে আলোচনা করছি।

আমাদের এ আই বিডি-২৪ ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম।


উইন্ডোজ কি । উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের সুবিধা


উইন্ডোজ কি অথবা উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের সুবিধা সম্পর্কে নজরের নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

windows একটি অপারেটিং সিস্টেম। ১৯৮৫ সালের মাইক্রোসফট কোম্পানি উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম চালু করে। ঠিক তখন থেকে বর্তমান পর্যন্ত উইন্ডোজ এর জনপ্রিয়তা সমানভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান বিশ্বে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের ব্যবহারকারী সর্বাধিক।

কিন্তু আমরা অনেকেই উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের প্রধান বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে অবগত নই বা উইন্ডোজ এর কার্যকারিতা কি এ সম্পর্কেও আমরা অবগত নই আমরা সবসময় জিজ্ঞেস করে থাকি উইন্ডোজ কি এ সম্পর্কেও আমাদের অনেক কৌতুহল রয়েছে তাই আজকের আর্টিকেল জুড়ে আমরা আলোচনা করব উইন্ডোজ কি এবং কেন ব্যবহার করবেন এবং উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের প্রধান বৈশিষ্ট্য গুলো কি।

উইন্ডোজ কি ? / what is windows

উইন্ডোজ কি । উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের সুবিধা


প্রথমেই আমাদেরকে জানতে হবে উইন্ডোজ কি। কম্পিউটার সফটওয়্যার বা প্রোগ্রাম ছাড়া অচল। আর এই কম্পিউটার সচল করার জন্য সবার আগে আমরা যে অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করি সেটি হচ্ছে উইন্ডোজ। যারা কম্পিউটারের হার্ডওয়ার গুলো পরিচালনা করে থাকে।

এক কথায় উইন্ডোজ হচ্ছে একটি প্রোগ্রামিং। যা মাইক্রোসফট কর্পোরেশন কর্তৃক একটি শক্তিশালী অপারেটিং সিস্টেম।

আর এই উইন্ডোজ এর মাধ্যমে অন্যান্য অনেক অ্যাপ্লিকেশন বা সফটওয়্যার পরিচালনা করা হয়ে থাকে।

১৯৮৫ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত উইন্ডোজ প্রতিনিয়ত আপডেট হয়ে আসছে।

উইন্ডোজ ১.০ ভার্সন। সর্বপ্রথম মাইক্রোসফট কর্পোরেশন কোম্পানি কর্তৃক মার্কেটে বাজারজাত করে।

এবং বর্তমানে সর্বশেষ মাইক্রোসফট কর্তৃক উইন্ডোজ আপডেট হয় windows11 ভার্সনে। বর্তমানে অধিকাংশ কম্পিউটার ব্যবহারকারী windows 11 ব্যবহার করার মাধ্যমে তাদের কম্পিউটার পরিচালনা করছেন।


উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের সুবিধা

উইন্ডোজ কি । উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের সুবিধা


উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের সবচেয়ে বড় সুবিধা এটি ব্যবহার করা তুলনামূলক সহজ। 

কম্পিউটার সম্পর্কে মৌলিক জ্ঞান থাকলেই ব্যবহার করা যায়। বর্তমানে উইন্ডোজ ১১ ভার্সন মার্কেটে অ্যাভেলেবল রয়েছে।

বড় অসুবিধা হলো এটি রিসোর্স হাংরি। লিনাক্সের তুলনায় অনেক বেশি রেম এবং প্রসেসিং পাওয়ার ব্যবহার করে।

যারা দৈনিক অফিসিয়াল বা বিজনেস করেন, তাদের জন্য উইন্ডোজ পারফেক্ট।

উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের প্রধান বৈশিষ্ট্য

উইন্ডোজ কি । উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের সুবিধা


বর্তমানে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ছাড়াও অনেকগুলি অপারেটিং সিস্টেম বাজারে আছে। iOS এবং অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম অধিক ব্যবহার হলেও উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের জনপ্রিয়তা বিশ্বের সর্বাধিক রয়েছে।

window s শুধুমাত্র জনপ্রিয়তা অর্জন করে সীমাবদ্ধ থাকেনি, উইন্ডোজ ব্যবহারকারীরা উইন্ডোস অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

কারণ এর ব্যবহার এতটাই সহজ মে, যেকোন ব্যবহারকারী প্রথমবার ব্যবহার করতে পারবে কোন ঝামেলা ছাড়াই।

windows ব্যবহার করা অধিক সহজ, এবং সার্ভিস অনেক ভালো। তাই অফিস আদালত স্কুল-কলেজ সহজে যেকোনো পেশার মানুষ এটি ব্যবহার করে থাকেন।

তবে যারা অপারেটিং সিস্টেমে প্রধানত বিশেষজ্ঞ অপারেটিং সিস্টেম এর প্রতি সম্পূর্ণ জ্ঞান রয়েছে শুধুমাত্র তারাই লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে থাকে ‌।

সুতরাং এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি ব্যবহার করা অধিকতর সহজ, এবং এটি ব্যবহার করে সহজে যেকোন সফটওয়্যার ইন্সটল করা যায় এবং কম্পিউটারের যেকোনো কাজ সহজেই সম্পাদন করা যায়।

উইন্ডোজ এর ভার্শন ধারাবাহিকতা


windows তৈরি হওয়ার সেই প্রথম দিন থেকে বর্তমান পর্যন্ত উইন্ডোজের বিভিন্ন ভার্সন ধারাবাহিকভাবে চলে আসছে।

তবে নতুন ভার্সনগুলো নতুন নতুন সিস্টেম বা সুবিধা যোগ করাতে এগুলো ব্যবহার করে অধিক সুবিধা পাওয়া যায় বলে নতুন ভার্সনের প্রতি সকলের একটি চাহিদা রয়েছে।

তাই নিচে আমরা উইন্ডোজের কিছু জনপ্রিয় ভার্সনের ধারাবাহিকতা লিপিবদ্ধ করেছে।


উইন্ডোজ ১.০


উইন্ডোজ ১.০ হচ্ছে একটি ১৬ বিট এর অপারেটিং সিস্টেম। আর এর জন্য আপনার প্রয়োজন এক এমবি এর কম মেমোরি। সেই সময় এটি সামান্য জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।

এই উইন্ডোজ এ ড্রপডাউন মেনু, ডায়লগ বক্স, এসকরোল বার, এবং আইকন গুলোর মত বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন কিছু সিস্টেম সহজভাবে উপস্থাপন করা হয়েছিল।

আর ও এস এর এই সংকরণে কয়েকটি প্রোগ্রাম যোগ করা হয়েছিল যেমন notep, এসে এম এডি ক্যালকুলেটর ইত্যাদি।

আর এই উইন্ডোজ পরিচালনা করার জন্য সর্বনিম্ন প্রয়োজন ছিল ২৫৬ কেবি এবং ডাবল ফলোপি ডিস্ক, ড্রাইভ এবং একটি গ্রাফি এডাপ্টার কার্ড।

উইন্ডোজ ২.০


উইন্ডোজ ২.০ ১৯৮৭ সালে সংস্করণ করা হয়। আর এটি ব্যবহার করার জন্য আপনার কম্পিউটারটি ১৬ বিটের হলে হবে। এর মেমোরি ক্ষমতা ৩৮৬ কেবি।

এটি সংস্করণ করার মূল কারণ ছিল গতি এবং গ্রাফিক্স সমর্থনকে কেন্দ্র করে। এটি ব্যবহার করার ফলে আরো নতুন কিছু সিস্টেম আপডেট করা হয়।

যেখানে কিবোর্ড শটকাট, লেআউট, নিয়ন্ত্রণ স্কিন ইত্যাদি তাছাড়া এটি সংস্করণে আত্মপ্রকাশ করেছিল কন্ট্রোল প্যানেলের জন্য।

উইন্ডোজ ৩.০


উইন্ডোজ ৩.০ এই সংস্করণটি ২৯শে ১৯৯০ সালে প্রকাশ করা হয়। সংস্করণ করার পরবর্তী সময় এটি খুব শীঘ্রই জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।

কারণ এতে উন্নত মানের অনেকগুলো বৈশিষ্ট্য যুক্ত করা হয়েছিল। সাথে উন্নত মানের গ্রাফিক্স যোগ করা হয়েছিল। এছাড়াও এতে প্রোগ্রাম ম্যানেজার, ফাইল ম্যানেজার এবং প্রিন্ট ম্যানেজারের মত সিস্টেম যোগ করা হয়েছিল।

উইন্ডোজ ৩.১


উইন্ডোজ ৩.১ সংস্করণ করার মূল কারণ ছিল নেটিভ নেটওয়ার্কিং সমর্থন করা। আর এই উইন্ডোজ সংস্করণ করার মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো কম্পিউটারে ক্লায়েন্ট বা সার্ভার কম্পিউটার একটি নতুন অংশ যুক্ত হয়েছিল।

তৎকালীন সময়ে এই সংস্কারণটি 10 মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়। ইতিহাসের নতুন একটি মাত্রা এনে দেয় windows 3. 1 । এছাড়াও এই অপারেটিং সিস্টেমের নতুন অনেক সিস্টেম যোগ করা হয় বলে এর সাফল্য দূরত্ব গতিতে এগিয়ে যায়।

উইন্ডোজ ১০


২০১৫ সালে ২৯ শে জুলাই মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ১০ সংস্করণ প্রকাশ করে। এটি ছিল সেই সময়ের সর্বশেষ সংস্করণ। আর এই উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে অনেকগুলো নতুন বৈশিষ্ট্য যুক্ত করে।

সেই সিস্টেমগুলোর মধ্যে অন্যতম অ্যাপ্লিকেশনগুলি সমর্থন, অ্যাপ্লিকেশনগুলি সম্প্রসারণ, অরিয়েন্টেড ইন্টারফেস এবং স্পর্শ ভিত্তিক ইন্টারফেস ট্রানজিট সমূহ যুক্ত করে।

এই অপারেটিং সিস্টেমটি আপনার ৩২ বিট কম্পিউটার বা ৬৪ বিট কম্পিউটারের ব্যবহারের উপযোগী।

এটি ইন্সটল করার জন্য আপনার কম্পিউটারের ন্যূনতম 4gb ram এর প্রয়োজন। নির্দেশনা গুলো সঠিকভাবে অনুসরণ করতে পারলে এটি ইন্সটল করা অনেক বেশি সহজ।

মাইক্রোসফট উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এবং একই সাথে সামঞ্জস্য রেখে ডিজাইন করা হয়েছে। এছাড়াও এটি এন্টিভাইরাস সিস্টেম এবং মাল্টি ফেক্টর সিস্টেমগুলি থেকে আপনার উইন্ডোজ কে সুরক্ষিত রাখবে।

বর্তমানে উইন্ডোজ ১০ এর ব্যবহারকারী অধিক বেশি কারণ এতে পূর্ববর্তী ইন্টারফেস এক্সপোলো এর ওয়েব ব্রাউজারের চেয়ে দ্রুত কাজ করে।

windows 10 সংস্করণ করার আগে আরো কিছু উইন্ডোজ সংস্করণ করা হয়। যেগুলো যুগের সাথে তাল মিলিয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তবে windows 7 বর্তমানে অনেক ব্যবহারকারী এখনো ব্যবহার করছেন।

আর সেই উইন্ডোজ গুলো হচ্ছে windows NT, Windows Vista, Windows 7, Windows 8 ।

তবে ২০২০ সালে উইন্ডোজ ১১ সংস্করণ করা হলেও বর্তমানে এখন পর্যন্ত এর জনপ্রিয়তা অধিকতার হয়নি। তবে আশা করা যায় ভবিষ্যতে এর ব্যবহারকারী বৃদ্ধি পাওয়ার মধ্য দিয়ে এর জনপ্রিয়তা অনেক বৃদ্ধি পাবে। 

কারণ প্রযুক্তি যত বেশি আপডেট হবে সেই সাথে উইন্ডোজ এর জনপ্রিয়তাও অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে।




উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কিত প্রশ্ন উত্তর:


১. সর্বশেষ উইন্ডোজ আপডেট ভার্সন কোনটি?


উত্তর: সর্বশেষ উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম আপডেট ভার্সন হচ্ছে উইন্ডোজ ১১।

২. উইন্ডোজ ১০ ফ্রিতে কোথায় পাবো?


উত্তর: উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেম আপনারা বিনামূল্যে মাইক্রোসফট এই অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

৩. windows আপডেট দিতে হয় কেন?


উত্তর: উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম আপডেট দেয়ার কারণ হচ্ছে, মাইক্রোসফট কোম্পানি প্রতিনিয়ত উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম নতুন আপডেট করে। আর এই নতুন কিছু পাওয়ার জন্য বা এই নতুন কিছু ব্যবহারের সুবিধা উপভোগ করার জন্য, আমাদের কম্পিউটারে উইন্ডোজ আপডেট দিতে হয়।

৪. windows বলতে কি বুঝায়?


উত্তর: উইন্ডোজ কি? উইন্ডোজ ১৬ মাইক্রোসফট কর্পোরেশন নামের একটি বিখ্যাত আইটি কোম্পানি দ্বারা তৈরি করা একটি গ্রাফিক্যাল ইন্টারফেস অপারেটিং সিস্টেম। এই অপারেটিং সিস্টেম টিকে ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন ডিভাইস গুলোকে পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করার জন্য।


৫. উইন্ডোজ কি একটি সফটওয়্যার?


উত্তর: সঠিক উত্তর হল। উইন্ডোজ একটি অপারেটিং সিস্টেম। একটি অপারেটিং সিস্টেম বা 'ওএস' হল এমন একটি সফটওয়্যার বা হার্ডওয়ার এর সাথে যোগাযোগ করে এবং অন্যান্য প্রোগ্রামগুলিকে চালিত হতে অনুমতি দেয়। সাধারণ ডেস্কটপ অপারেটিং সিস্টেমে উইন্ডোজ, ডইওএস, লিনাক্স অন্তর্ভুক্ত।

শেষ কথা: উইন্ডোজ কি । উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের সুবিধা এই সম্পর্কিত আজকের আলোচনাটি এখানে সমাপ্ত করা হলো। আশা করি এই আর্টিকেল থেকে আপনারা অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। বাংলা ভাষাভাষী এ ধরনের তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।





Post a Comment

Post a Comment (0)

Previous Post Next Post