একজন মানুষ শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে রোগমুক্ত জীবনযাপন করতে যেমন ভাল খাবারের প্রয়োজন রয়েছে, তার পাশাপাশি সবচাইতে বেশি প্রয়োজন হল শারীরিক ব্যায়াম। সেটা দৈনিক হাঁটা চলার মাধ্যমেও হতে পারে, বা ভারি কাজ করার মাধ্যমেও হতে পারে। তবে নির্দিষ্ট পরিমাণে ব্যায়াম করলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যেমন বাড়ে, ঠিক তেমনি ভাবে শরীরের ওজন কন্ট্রোলেও থাকে, তাই শারীরিক রোগব্যাধি থেকে নিজেকে সুস্থ রাখা যায়।
আমাদের এ আই বিডি-২৪ ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম।
সকালে কোন ধরনের ব্যায়াম করা উচিত? সকালে কোন ধরনের ব্যায়াম করবেন বা কোন ধরনের খাবার খাবেন। এ বিষয়গুলো নিয়েই আজকে আমাদের আলোচনাটি সাজানো হয়েছে। সম্পূর্ণ আলোচনাটি পড়লে পরে আপনারা অনেক উপকৃত হতে পারবেন। সকালে কোন ধরনের ব্যায়াম করা উচিত? তো চলুন শুরু করি।
দিনের কোন সময় ব্যায়াম করা উচিত
ব্যস্ততা আমাদের জীবনে এভাবে জড়িয়ে রয়েছে যে মাত্র একটা ঘন্টা সময় খুঁজে বের করা অনেক কঠিন। সকালে অফিসের জন্য অনেকেই ব্যায়াম করার সুযোগ পাই না অফিস থেকে ফিরতে সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত হয়ে যায় বাড়ি ফিরতে আবার কত কাজ ব্যায়াম করার সময় কই জানি এই তো বলবেন কিন্তু সুস্থ থাকতে হলে কিছুটা সময় আপনাকে অবশ্যই বের করে নিতে হবে।
কিভাবে জেনে নিন?
সকাল: অনেকে ঘুম থেকে উঠে বিছানায় বসে ব্যায়াম করা শুরু করেন তবে সময় ভারী বেন না করাই ভালো কারণ এক্সারসাইজের জন্য শরীরে যথেষ্ট পরিমাণে এনার্জি থাকা প্রয়োজন।
- সময়ের অভাব থাকলে ঘুম থেকে ওঠার আধঘন্টা পর হালকা যোগ কিংবা মর্নিং ওয়ার্ক করুন।
- ঘুম থেকে ওঠার পর ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে কয়েক ঘন্টা ব্যায়াম করুন।
- মনে রাখবেন কখনোই খালি পেটে ব্যায়াম করা যাবে না।
- বিকেল: ব্যায়াম করার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হচ্ছে দুপুরের পর বিকেলে মানে ঘুম থেকে ওঠার ছয় ঘন্টা পর এবং 12 ঘণ্টার মধ্যে।
- যাদের বাড়ি এক্সারসাইজের পরিকল্পনা রয়েছে তারা দিনের বেলায় যে কোন একটি সময় বেছে নিন।
- লাঞ্চ বা দুপুরের খাবারের পর বসে না থেকে হালকা হাঁটুন।
- সন্ধ্যা: বাড়ি ফেরার পথে কিছুটা পথ হেঁটে আসুন।
- হাঁটার সময় খেয়াল রাখবেন যেন ১০ মিনিটে এক কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে পারেন অর্থাৎ একটু দ্রুত গতিতে হাঁটার চেষ্টা করুন।
- সন্ধ্যাবেলা এক্সেসাইজ করতে পারেন কিন্তু সে ক্ষেত্রে অবশ্যই এক্সারসাইজ করার আগে রিলাক্স করুন যাতে এক্সারসাইজ করার সময় ক্লান্ত ভাব না থাকে।
- যোগব্যায়াম করার জন্য সন্ধ্যা সবচেয়ে উপযুক্ত সময়।
- এ সময় আপনি ট্রেডমিল বা সাইকেলিং করতে পারেন।
যোগ ব্যায়াম করার নিয়ম
জিমে গিয়ে ব্যায়াম করার ইচ্ছা সময় এবং সামর্থ্য সবার থাকে না আর তাই শিখে নিন ঘরে করা যায় এমন কিছু হালকা ব্যায়াম যেগুলোর মাধ্যমে আপনার শরীর ফিট থাকবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।
- সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে পেছনের দিকে পা তুলে হাত দিয়ে ধরে রাখুন।
- ১০ সেকেন্ড এক পা এভাবে রেখে ছেড়ে দিয়ে অন্য পা তুলে ধরুন।
- এভাবে প্রতিদিন ২০ বার করুন প্রতি পার তিনবার করে করার পর ৩০ সেকেন্ড বিরতি নিন।
- সোজা হয়ে দাঁড়ান ঘাড়ের পিছনে হাত দিয়ে নিচের দিকে ঝুঁকে আসন যত দূর সম্ভব এভাবে দশবার করুন।
- দাঁড়িয়ে দুই হাত কোমরে রেখে মাথা ডানে বামে সামনে এবং পিছনে বারবার ঘুরান।
- সোজা হয়ে শুয়ে মাথার পিছনে দুই হাত রেখে ওঠার চেষ্টা করুন খেয়াল রাখবেন পা ভাজ করবেন না এভাবে আট বার করুন।
- যে কোন যোগ ব্যায়াম করার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখুন।
- সকালে হালকা কিছু খেয়ে ব্যায়াম করুন।
- প্রেম করার সময় আরামদায়ক পোশাক পড়ুন অর্থাৎ ঢিলেঢালা।
- প্রথমে বেশি সময় নিয়ে কঠিন ব্যায়াম করবেন না ধীরে ধীরে ব্যায়ামের সময় বাড়ানো দরকার।
- ব্যায়ামের কিছু বই এবং চিঠি পাওয়া যায় এগুলো দেখে নিতে পারেন।
এবং বর্তমান সময়ে ভিডিও প্ল্যাটফর্ম গুলোতে ব্যায়াম করার জন্য অনেক প্রশিক্ষণ মূলক ভিডিও রয়েছে যেগুলো দেখেও নিজে ব্যায়াম করা শিখতে পারেন।
ব্যায়াম সংক্রান্ত অনেক তথ্য আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে ইতিমধ্যেই পাবলিশ করেছে আপনারা সেগুলো পড়তে পারেন এখানে আমরা কয়েকটি সাবজেক্ট এর উপরে একটি আলোচনা করলাম এগুলো দৈনন্দিন আমাদের ব্যায়াম করার জন্য সহযোগী মাধ্যম হবে।
সকালে কোন ধরনের ব্যায়াম করা উচিত?
সকালে ব্যায়াম করা একটি ভালো আদর্শ কারণ প্রত্যেকদিন সকালে ব্যায়াম করা আমাদের দিনের শুরুটাকে সুস্থ ও উৎসাহী করে তোলে সকাল একটি উপযুক্ত সময় ব্যায়াম করার জন্য সকালে ব্যায়াম করা সমস্ত শারীরিক এবং মানসিক উন্নয়নে সহায়তা করে এছাড়াও সকালে ব্যায়াম করা ব্যক্তির দৈনন্দিন জীবন ও কর্মকান্ডের জন্য শক্তিশালী একটি শুরু তৈরি করে যা দিনের অন্যান্য সময়ের জন্য উৎসাহ ও শক্তি যোগিয়ে তোলে।
কোন ধরনের ব্যায়াম করবেন সকালে?
ওয়াকিং বা রানিং: যেহেতু walking এবং রানিং খুবই সহজ একটি ব্যায়াম এবং সময়ের দৃষ্টিতে খুব কম সময় নেয় সেখানে সকালে এই ব্যায়ামটি করা উত্তম।
উঠা-বসা ব্যায়াম: ওঠাবসা ব্যায়াম করতে সমস্যা নাই এবং সকালে এটি করা উপযোগী এটি আপনার পা হাঁটানো সম্পর্কিত মাংসপেশিগুলো চাপা এবং আপনার সাধারণ কন্ডিশনকে উন্নয়ন করে।
জাম্পিং বাই জ ্যাক বা স্টেপ আপ ব্যায়াম: এটি আপনার হাত-পা এবং সাধারন শরীরের মাংসপেশিগুলো শক্তিশালী করে এবং সকালে জাম্পিং ব্যায়াম করা উপযোগী হতে পারে।
বাইসাইকেল চালানো বা সাইকেল চালানো শরীরের জন্য অধিক উপযোগী।
পুস আপ: সকালে পুস আপ করা আপনার হাত বুক এবং কোম র চুল বড় করে এবং শক্তিশালী করে।
লাঙ বল: এটি শরীরে বিভিন্ন অংশে প্রস্তুত হতে সাহায্য করে এবং পেশাগুলি শক্ত করে আপনার শরীরকে শক্তিশালী বানায়।
সকালে ব্যায়ামের অন্যতম একটি উপযোগী কারণ হলো সকালে ব্যায়াম করার মনোমুগ্ধকর এবং শান্তি সৃষ্টি করে সকালে ব্যায়াম করা আপনার দিনটি সুখী করে এবং আপনার মনকে শান্ত করে কারণ সকালের আবহাওয়া সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে এক অপরূপ নেয়ামত।
কেগেল ব্যায়াম করলে কি হয়?
কোন পুরুষ যদি কেগেল ব্যায়াম করে পুরুষের মতো থলির সমস্যা সমাধান দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা সহ নানা রকম সমস্যা সমাধানের কার্যকরী পদ্ধতি এই কেগেল ব্যায়াম চলুন এক নজর দেখে নেয়া যাক পুরুষের কেগেল ব্যায়ামের উপকারিতা গুলি কি কি বা করলে কি হয়?
নিয়মিত কে কে এল ব্যায়াম করতে পুরুষের অনিয়মিত প্রসাবের সমস্যা দূর হবে।
লিঙ্গ উদ্যানের সমস্যা সমাধানে কার্যকরী পদ্ধতি ধরা হয় এই কেগেল ব্যাম কে তবে এই ক্ষেত্রে দুই মাস দুই থেকে তিন মাস সময় লাগতে পারে।
দ্রুত বীর্যপাতের মত সমস্যা হলে সমাধান হবে এই ব্যায়ামের মাধ্যমে।
পুরুষের মানসিক সমস্যা দূর করাও রাতের ঘুমের সমস্যা সমাধান করে এই কেগেল ব্যায়াম।
শেষ কথা: সকালে কোন ধরনের ব্যায়াম করা উচিত? এ সংক্রান্ত সঠিক তথ্যগুলো এখানে আমরা সাজানো ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আশা করছি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে আপনারা উপকৃত হতে পারবেন আমাদের ওয়েব সাইটে এ সংক্রান্ত আরো অনেক আর্টিকেল রয়েছে আমাদের ওয়েবসাইট ঘুরে দেখার আমন্ত্রণ রইল ধন্যবাদ।
সকালের ব্যায়াম dr jahangir kabir,খাবার পরে কি ব্যায়াম করা উচিত,কতক্ষন ব্যায়াম করা উচিত,পেটের মেদ কমানোর ব্যায়াম,ব্যায়াম করার আগে না পরে পানি খাওয়া ভালো,৫ মিনিটের সকালের ব্যায়াম,ব্যায়াম করার আগে ও পরে কি খাওয়া উচিত,১০ মিনিটের সকালের ব্যায়াম।
Post a Comment